৭ দিনের মধ্যে কোনো ধরনের ইন্টারেস্ট ছাড়া অথবা ৬ টি সহজ মাসিক কিস্তিতে পেমেন্ট পরিশোধ করা যাবে।
বিকাশ পে-লেটার ফিচার কি?
বিকাশ পে-লেটার ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে বিকাশ অ্যাপের মার্চেন্ট পেমেন্ট অপশনে গিয়ে। পেমেন্ট আইকনে ক্লিক করার পর অ্যামাউন্ট স্ক্রিনের নিচে পে-লেটার আইকন দেখতে পাবেন।
বিকাশ পে-লেটার ফি
বিকাশ পে-লেটার ফিচার সম্পর্কিত তথ্য
এবার জানি চলুন বিকাশ লোন বা পে-লেটার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং কিছু সাধারণ সমস্যার সমাধান।
বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে “লোন” আইকনে ট্যাপ করলে লোন ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। কোনো গ্রাহক যদি লোন নেওয়ার জন্য উপযুক্ত হন, বা বর্তমানে তার বিকাশ অ্যাপে লোন বা পে-লেটার থাকে, তাহলে এই স্ক্রিনে বর্তমান এর লোন বা পে-লেটার এর তথ্য দেখা যাবে।
অনেকের বিকাশ অ্যাপের লোন বা পে-লেটার আইকনটি ডিজেবল করা অর্থাৎ গ্রে (ধূসর) দেখা যেতে পারে। এইক্ষেত্রে লোন মেন্যুতে প্রবেশ করার জন্য বা পেমেন্ট অপশনে পে-লেটার ব্যবহার করতে বিকাশ অ্যাপ আপডেট করতে হবে।
অনেকের বিকাশ অ্যাপের “লোন” বা “পে-লেটার” অপশনে ট্যাপ করলে “লোন নিতে আগ্রহী হওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। লোন পেতে, আপনার বিকাশ একাউন্টে ব্যালেন্স রাখুন, পেমেন্ট ও অ্যাড মানি সেবা বেশি বেশি ব্যবহার করুন” লেখা দেখতে পেতে পারেন। সেইক্ষেত্রে বুঝতে হবে আপনার বিকাশ একাউন্ট এখনও উল্লেখিত সেবাগুলো পেতে উপযুক্ত নয়। সেবাগুলো ব্যবহার করতে আপনার বিকাশ একাউন্টের তথ্য হালনাগাদ করে নিন এনআইডি এর তথ্য ব্যবহার করে। এরপর বিকাশ এর সার্ভিসগুলো, যেমন: সেভিংস, মোবাইল রিচার্জ, পে বিল, পেমেন্ট ইত্যাদি বেশি বেশি বেশি ব্যবহার করে, বিকাশ একাউন্টে নিয়মিত ব্যালেন্স রেখে তারপর এই ফিচার আনলক করতে পারবেন। 👉 বিকাশ লোন আপনি পাবেন কিনা যেভাবে বুঝবেন
অনেকের ক্ষেত্রে বিকাশ এর লোন বা পে-লেটার অপশনে ট্যাপ করলে “অনুগ্রহ করে তথ্য হালনাগাদ করুন লোন/পে-লেটার সেবা পেতে অনুগ্রহ করে আপনার তথ্য হালনাগাদ করুন। কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে ই-কেওয়াইসি এর মাধ্যমে আপনার তথ্য হালনাগাদ করুন” লেখা দেখাতে পারে। এর কারণ হলো লোন বা পে-লেটার সেবাটি বর্তমানে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিকাশ গ্রাহকের জন্য চালু করা হয়েছে৷ লোন বা পে-লেটার সার্ভিসটির অ্যাকসেস পেতে বিকাশ মেন্যু থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র এর তথ্য প্রদান করে তথ্য হালনাগাদ করে নিন।
বর্তমানে নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহকের জন্য লোন ও পে-লেটার সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আপনার বিকাশ একাউন্টে ফিচারগুলো পেতে একাউন্ট ব্যালেন্স রাখতে ও বেশি বেশি লেনদেন এর পরামর্শ দিয়ে থাকে বিকাশ।
উল্লেখ্য যে বিকাশ লোন বা পে-লেটার এর সর্বোচ্চ লিমিট হলো ২০,০০০ টাকা৷ তার মানে এই নয় যে সকল গ্রাহক সমান এমাউন্টের লোন পাবেন। আপনার লেনদেন ও একাউন্টের ব্যালেন্স এর উপর ভিত্তি করে আপনি কত টাকা লোন পাবেন তা ঠিক করা হবে। এইক্ষেত্রে সকল একাউন্টের লোন এর পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে৷ অর্থাৎ আপনার একাউন্টে লেনদেন বেশি হলে আপনি ২০,০০০টাকা লোন পেতে পারেন, আবার আপনার বন্ধুর বিকাশ একাউন্টে লেনদেন কম হলে সে ৮,০০০ টাকা লোন পেতে পারে
পরিশোধিত লোন এর ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট রেট ৯% যা সিটি ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত লোনের বার্ষিক ইন্টারেস্ট রেট এবং দৈনিক ভিত্তিতে হিসাব করা হয়। উল্লেখ্য যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে ইন্টারেস্ট রেট পরিবর্তন হতে পারে।
বিকাশ লোন বা পে-লেটার ফিচার ব্যবহার করার পুর্বে লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, ইন্টারেস্ট রেট, ইন্টারেস্ট, কিস্তির পরিমাণ, লোন পরিশোধের তারিখসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্যের বিস্তারিত দেখতে পাবেন বিকাশ অ্যাপের লোন ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করে।
পেমেন্ট এর সময় ‘আংশিক পরিশোধ’ অপশন ব্যবহার করে লোন এর পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো যাবে। সঠিক সময়ে বিকাশ লোনের কিস্তি পরিশোধ না করলে বিলম্বিত পরিমাণের উপর বার্ষিক ২% হারে জরিমানা দিতে হবে। বিকাশ পে লেটার ফিচার সম্পর্কে আরও জানতে পারেন বিকাশের অফিসিয়াল পেজ থেকে।